তিনি বলেন, বিসিএসসহ সরকারি চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে এমন তরুণদের মাঝে যাতে কোনোরূপ হতাশার জন্ম না নেয়, সেজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য প্রকল্প ও কর্মসূচির অধীনে আইটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশ-বিদেশের আইটি কোম্পানিগুলো যাতে আইটি প্রশিক্ষিত দক্ষদের খুঁজে পায় এবং তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে চাকরিতে নিয়োগ দিতে পারে সেজন্য ‘আইসিটি ট্যলেন্ট পুল’ ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে বলেও জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আইসিটি ডিভিশনের অধীনে বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকদের উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে এলআইসিটি ও অন্যান্য প্রকল্পের অধীনে গড়ে উঠা দক্ষ মানবসম্পদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে এ সাইটটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহত হতে পারে।
এলআইসিটি প্রকল্প গুণগত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশে ৩০ হাজার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংকে নিয়োগ দেয়। তারা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে তিন হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। পর্যায়ক্রমে ৩০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্বমানের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলা হবে। প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে এলআইসিটি প্রকল্পের ই-গভর্মেন্ট উপাদানের অন্তর্ভুক্ত ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (এনইএ), আইসিটি রোডম্যাপ, সরকারি সংস্থাগুলোর তথ্য ও ডাটা আন্তঃপরিবাহীতা এবং এসব সংস্থাগুলোর কমিউনিকেশন প্রোটোকল সম্পর্কিত ‘এনইএ বাস’ তৈরি এবং যশোরে ডিজাস্টার রিকোভারি সেন্টার স্থাপনের উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন যথাক্রমে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং ও প্রাইস ওয়াটার কুপার (পিডব্লিউসি)।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বিসিএসের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, এবং এলআইসিটি প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
No comments:
Post a Comment