Thursday, February 11, 2016

News বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ শ্রমিক পাঠাবে সরকার

মালয়েশিয়া সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে অর্থাৎ ‘জি টু জি প্লাস’ প্রক্রিয়ায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী পাঠাবে সরকার। এ লক্ষ্যে উভয় পক্ষের এক সমঝোতা স্মারকের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, অভিবাসন ব্যয় ৩৪ থেকে ৩৭ হাজারের মধ্যে হবে। এই ব্যয়ের সবটুকু করবে কর্মী নিয়োগকারী (সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিক)। বিদেশে কর্মীদের বেতন পরিশোধ হবে ব্যংকের মাধ্যমে। এর আগে জি টু জি (সরকার টু সরকার) প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রচেষ্টা সফল না হওয়ায় জি টু জি ‘প্লাস’ প্রক্রিয়ায় নতুনভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। জি টু জি প্রক্রিয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরণের সুযোগ ছিল না। এ সমঝোতার প্রেক্ষিতে এক মাসের মধ্যেই কর্মী প্রেরণ শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সরকার। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার ২০১২ সালের সমঝোতা স্মারক এবং ২০১৪ সালের স্মারক বাতিল হয়ে যাবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। শফিউল আলম আরও জানান, এ সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী অভিবাসন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার ‘সোর্স কান্টি’ হিসেবে মর্যাদা পাবে। সোর্স কান্ট্রির মর্যাদার বিষয়ে তিনি বলেন, এর আগে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীরা শুধু ‘প্ল্যান্টেশন’ (বৃক্ষরোপন) খাতে কাজ করতে পারতেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশি কর্মীরা সেবা খাত, ম্যানুফেকচারিং এবং নির্মাণ খাতে কাজ করতে পারবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় কাজের ক্ষেত্র ব্যাপকভাবে প্রসারিত হলো। তবে, সংশ্লিষ্ট খাতে কাজ করতে হলে কর্মীকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, নারীরাও মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যেতে পারবেন। সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কর্মী নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়া থেকে চাহিদা আসবে। তার প্রেক্ষিতে বিএমইটি’র তথ্য ভাণ্ডারে নিবন্ধিতদের থেকে আগ্রহীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। অভিবাসন ব্যয়ের সবটুকু নিয়োগকর্তা বহন করলেও প্রাথমিক কিছু খরচ অভিবাসন প্রত্যাশীকে বহন করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এদিকে মন্ত্রিসভায় ‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন আইন,২০১৬’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করলেও তা অনুমোদন পায়নি। আইনটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Comments

comments

No comments:

Post a Comment