Showing posts with label Fashion. Show all posts
Showing posts with label Fashion. Show all posts

Sunday, March 13, 2016

ফেসিয়াল করার সঠিক নিয়ম

সারা বছরই আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে হয়। কিন্তু গরমের সময়টায় ত্বকের যত্ন নেয়াটা হয়ে যায় বাধ্যতামূলক। এই সময়ে ময়শ্চারাইজ়ারও মাখা যায় না। তাই গরমকালে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে বাড়তি যত্ন নিতেই হবে।
আমরা মনে করি ত্বকের পরিচর্যার জন্য হয়তো অনেক কিছু প্রয়োজন। আসলে কিন্তু তা নয়। আমরা রান্নাঘর বা ফ্রিজ থেকেই পেতে পারি প্রয়োজনীয় উপকরণ যা দিয়ে ধরে রাখতে পারি প্রতিদিনের সুন্দর ত্বক।
ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করে কীভাবে ফেসিয়াল করব, আর কোন ত্বকে কোন ফেসিয়াল ভাল হবে সেটা আগে জেনে নিই ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক রূপবিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলমের কাছে।
চট জলদি রূপচর্চার বেশ কিছু উপায় বাতলে দিলেন ফারনাজ। এখন যে কোনোটি ট্রাই করুন:
ফেসিয়ালের ধাপগুলো এভাবে অনুসরণ করুন,
ফেসিয়াল করার নিয়ম
ক্লিঞ্জিং
প্রথমে ক্লিঞ্জিং দিয়ে মুখ ধোয়ার পূর্বে প্রথমে গরম ভাপ নিয়ে নিন। এটি আপনার মুখের লোমকুপগুলো খুলে দিতে সাহায্য করবে। ভাপ নেয়া হয়ে গেলে ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ভালো করে। দুধে তুলা ভিজিয়ে ত্বক পরিস্কার করে নিতে পারেন।
ক্রিম ম্যাসাজ
ফেসিয়াল ক্রিম দিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে নিন।
স্ক্র্যাবিং
এবার স্ক্র্যাব দিয়ে মুখ আলতো ভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন। তারপর উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য চালের গুঁড়া, সুজি অথবা চিনি হতে পারে সবচেয়ে ভালো স্ক্র্যাব।
টোনিং
সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন টোনার। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপযোগী। তুলা দিয়ে টোনার মুখে লাগান কিন্তু ভুলেও ঘষবেন না। চোখের কাছে লাগাবেন না।
এই পর্যায়ে ফেসিয়াল যে কোনো একটি মাস্ক প্রস্তুত করুন।
একটা শসা কুড়িয়ে, সেটা থেকে রসটা বের করে এক চামচ চিনি ভাল করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ত্বকে মেখে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। শসার রস ত্বককে হাইড্রেট করে, ফলে ত্বক অনেক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।
দু’চামচ মসুর ডাল সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে মসুর ডাল বেটে তার মধ্যে অল্প দুধ ও আমণ্ড তেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই প্যাকটা মুখে মেখে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন।
শসার রস, এক কাপ ওটমিল ও এক টেবিল চামচ দই একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটা পুরো মুখে মেখে তিরিশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মিশ্রণটা ২০ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আজকাল সারা বছর টমেটো পাওয়া যায়। একটি টমেটো ভাল করে চটকে নিন। সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে আমাদের ত্বকের দাগগুলো সব মিলিয়ে যাবে।
ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চামচ গ্রিন টি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ১টি বাটিতে ২ চামচ মুলতানি মাটি নিন। তাতে ২-৩ চামচ গ্রিন টি ভেজানো পানি মেশান। অ্যালোভেরার আবরণ সরিয়ে রস বের করে নিন। এবার মুলতানি মাটি ও গ্রিন টির মিশ্রণে মিলিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন, তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
বাহ! দেখুন তো আয়নায়, স্টোরিটা পড়েই কেমন যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন, এবার ঝটপট শুরু করুন।
ট্যাগস – ফেসিয়াল, ফেসিয়াল ক্রিম, ফেসিয়াল করার নিয়ম, ফেসিয়াল মাস্ক, ফেসিয়াল স্ক্রাব, ফেসিয়ালের নিয়ম, ফেসিয়াল টিপস, ফেসিয়াল করার উপায়, ফেসিয়াল কি, ফেসিয়াল প্যাক, ফেসিয়াল করা, গোল্ড ফেসিয়াল, ছেলেদের ফেসিয়াল, হারবাল ফেসিয়াল, ফ্রুট ফেসিয়াল, ঘরোয়া ফেসিয়াল, পার্ল ফেসিয়াল, চকলেট ফেসিয়াল, অরেঞ্জ ফেসিয়াল, হোয়াইটেনিং ফেসিয়াল

মেছতা কি? এর কারণ,উপসর্গ,প্রতিকার ও প্রতিরোধ

ত্বকের যে সমস্ত সমস্যা বেশি দেখা যায় তার মাঝে অন্যতম হলো মেছতা। এর জন্য মেয়েরা খুব দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকে। এটি ছেলে মেয়ে উভয়েরই হতে পারে। তবে তুলনামূলকভাবে মেয়েদের বেশি হয়। সাধারণত ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মেয়েদের হয়ে থাকে। আজকে চলুন মেছতা নিয়ে বিস্তারিত জানা যাক।
মেছতা কি ?
আমাদের ত্বকের নীচে মেলানিন নামক এক ধরণের রঞ্জক পদার্থ থাকে। কোন কারণে ত্বকের বিশেষ জায়গায় এটির কার্যক্ষমতা বেশি হলে ত্বকের সেই অংশটি পার্শ্ববতী অংশের চেয়ে বেশি গাঢ় হয়ে যায়। ফলে ওই অংশটি কালো বা বাদামী থেকে হালকা বাদামী দেখায়। একে মেছতা বলে। এটি কোন এলার্জী না। ক্যান্সার করেনা বা খারাপ কিছুই করেনা। শুধুমাত্র এইটার একটাই ক্ষতি করে আর তা হলো সৌন্দর্যহানি।
মেছতার উপসর্গ কি ?
মেছতা শরীরের যে কোন জায়গায় হতে পারে তবে সাধারণত যেসকল জায়গায় সূর্যের আলো বেশি পড়ে সেই জায়গায় বেশি হয়। মেছতার উপসর্গ একটাই ,তা হলো কালো বা বাদামী রঙের ছোপ বিশেষ করে ,
০১. গালে
০২. নাকের উপরে
০৩. থুতনিতে
০৪. উপরের ঠোঁটের উপরের অংশে
০৫. গলায়
০৬. ঘাড়ে
০৭. এমনকি হাতেও হতে পারে ।
মেছতার কারণ কি ?
০১. প্রোটেকশন ছাড়া অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে গেলে এটি হয়। সূর্যের আলোই এটির প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়।
০২. হরমোনের তারতম্য ঘটলে, যেমন গর্ভাবস্থায় এটি হয়ে থাকে।
০৩. হরমোন ওষুধ ব্যবহারে বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিলে।
০৪. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে।
০৫. থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য ঘটলে।
০৬. বংশগত কারণে হতে পারে।
০৭. ত্বক নিয়মিত ভাল ভাবে পরিষ্কার না করলে।
মেছতার প্রতিকার কি ?
মেছতা পুরাপুরি প্রতিকার করা সম্ভর হয়না। তবে অবস্থার উন্নতি করা যায়। তাই মেছতা হলে প্রথমেই একজন ভাল ডার্মাটোলজিস্টকে দেখাতে হবে। সাধারণত চিকিত্‍সকেরা উডস ল্যাম্পের সাহায্যে মেছতা নির্ণয় করে থাকেন। এরপর মেছতার জন্য তারা বিভিন্ন ওষুধের ক্রীম বা জেল দিয়ে থাকেন। যেমন ০১) hydroquinone : এটি টাইরোসিনেজ নামক এনজাইমকে বাঁধা দেয়, যা মেলানিন তৈরী করে। ফলে ত্বকের যে জায়গায় মেছতা হয়েছে, সেই জায়গাটি সাদা করতে সাহায্য করে। তাই এটি ডাক্তারদের প্রথম পছন্দ।
০২) tretinoin & corticosteroids : এটি ডাক্তারদের ২য় পছন্দের ওষুধ। মাঝে মাঝে একটি মেডিসিন ৩টি ড্রাগস নিয়ে তৈরী হয়। একে ট্রিপল ক্রীম বলে। এই ট্রিপল ক্রীমে hydroquinone, tretinoin & corticosteroid থাকে।
০৩) azelaic acid or retinoid : যদিও এটি ব্রণের চিকিত্‍সায় ব্যবহৃত হয়, তারপরও এটি মাঝে মাঝে মেছতার জন্যও ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। মনে রাখবেন, এগুলো কিন্তু ক্রীম বা জেল হিসেবে মুখে মাখতে হয়। খাওয়ার জন্য নয়। যদি এই ওষুধগুলো দেয়ার পর নিম্নোক্ত উপসর্গগুলো দেখা দেয় তবে ডাক্তারকে দেখাবেন।
– ত্বকে ইরিটেশন হলে বা চুলকালে
– ত্বক কালো হয়ে গেলে ও
– অন্যান্য সমস্যা হলে
এছাড়া যে সকল কারণে মেছতা হয়েছে তা পরিহার করা উচিত্‍। সুগন্ধী কসমেটিক ও পিল ব্যবহার করা ছেড়ে দিতে হবে। সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করতে হবে। গর্ভাবস্থায় যে মেছতা হয় তা অনেকসময় বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পর আপনাআপনি সেরে যায়। এছাড়াও মেছতার জন্য কিছু টাইপের লেজার ও ক্রায়োসার্জারি ট্রিটমেন্ট-ও আছে।
মেছতার জন্য কোন ফেসিয়াল ভাল ?
মেছতার জন্য পিল ফেসিয়াল ও এলোভেরা ফেসিয়াল ভাল।
মেছতা হলে ঘরে বসে কি কি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারি ?
০১. ডিম ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২ বার।
০২. এলোভেরা, শশা ও মধু একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
০৩. লেবুর রস ও সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
০৪. এলোভেরা জেল রাতে ঘুমানোর আগে আক্রান্ত স্থানে মেখে সারারাত রেখে পরদিন সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর সাথে ভিটামিন ই ও মেশাতে পারেন। এছাড়া এলোভেরা জেলের তৈরী শরবত খেলেও বেশ উপকার পাবেন।
০৫. আপেল সিডর ভিনেগার ও সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
০৬. পেঁয়াজের রস ও আপেল সিডর ভিনেগার মিশিয়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
০৭. ৫ চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে ১০ চামচ হালকা গরম দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিরোধের উপায় কি ?
বলা হয়ে থাকে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই মেছতা হওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে মেছতা না হয়।
০১. সানস্ক্রীন ছাড়া একদমই রোদে বের হবেন না। সানস্ক্রীন যাতে ব্রড প্রটেকশনযুক্ত হয়। (যা এর প্রতি ব্লক তৈরী করে) এবং তা যেন ,
.SPF 30
.zincoxide
.titanium oxide সমৃদ্ধ হয়, যা ফিজিক্যালি ব্লক তৈরী করে।
বাইরে যাওয়ার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে লাগাতে হবে এবং পরে প্রতি ২ ঘন্টা পর পর আবার লাগাতে হবে। মেছতা হবার পরও এই নিয়মে চলতে হবে।
০২. ছাতা ও স্কার্ফ বা ওড়না বা হ্যাট ব্যবহার করুন। কেননা কোন সানস্ক্রীনই ১০০ ভাগ প্রোটেকশন দিতে পারেনা। তাই সানস্ক্রীন লাগানোর পরেও এগুলো
ব্যবহার করুন।
০৩. সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত পারতপক্ষে কোন জরুরী কাজ না থাকলে বাইরে বের হবার চেষ্টা করবেন না। বের হলেও প্রপার প্রোটেকশন নিয়ে বের হবেন।
০৪. ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করবেন ও যত্ন নিবেন।
০৫. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল পারতপক্ষে না খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
০৬. বেশি চিনি খাবেন না। আবার বেশি ঝাল ও খাবেন না।
০৭. বেশি করে পানি ও ফলমূল খাবেন।
মেছতা ঢাকার উপায় কি ?
হোয়াইট বা ইয়োলো আন্ডারটোনের মেকআপ ব্যবহার করে মেছতা ঢাকা যায় ।